শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
বেতাগী(বরগুনা)প্রতিনিধি।।
বরগুনার বেতাগী উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের ঘোষের খাল সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পাঁচ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শণ করে সহায়তার আশ্বাস দিলেও মেরামতের কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও অমাবশ্যার ভরা কটালের ( আঞ্চলিক ভাষায় অমাবশ্যা জোবায়) পানি বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলেই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। বিষখালী নদীর তীরবর্তী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পুরাতন থানা এলাকা, ৭ নং ওয়ার্ডের বাজার সংলগ্ন রাস্তাঘাট, কাঁচা ও আধাকাঁচা বাড়ি-ঘর জোয়ারের সময় পানিতে তলিয়ে যায়। আবার জোয়ার শেষ হলে ৪/৫ ঘন্টা পরে পানি নেমে যায় এবং নিচু জায়গাগুলো হয় পানিবন্দি।
উপজেলার ৫ নং বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের ঘোষের খাল নামক খালটির বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কাউনিয়া, পশ্চিম কাউনিয়া ও বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোর গৃহস্থালি রান্না পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। গবাদি পশু নিয়ে এসব পরিবার বিপাকে রয়েছে। জনজীবনের দূর্ভোগ চরমে। আমনের বীজতলা, সবজিক্ষেত ও পানের বরজ পানির মধ্যে তলিয়ে রয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা কপিল হালদার সজল বলেন,‘ ঘোষের খালের বেড়িবাঁধটি আম্ফানের সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এরপর পূর্ন সংস্কার না করায় স্রোতের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে।’ বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের কৃষক আলতাফ তালুকদার ও জগদ্বীশ হাওলাদার জানায়,‘ গত কয়েকদিনের একটানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে পানের বরজ ও বাড়িঘর তলিয়ে রয়েছে।’
বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম রব শুক্কুর মীর বলেন,‘ ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে শুকনো খাবার ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন,‘ আমরা উপজেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। বেশি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এবং বেড়িবাঁধ পূর্ন মেরামত করা হবে।’